আইনি জটিলতায় কক্সবাজার হাসপাতালের মর্গে দুই সপ্তাহ ধরে পড়ে আছে টেনকাফের মেয়ে লাকিংমে চাকমার লাশ। এ অবস্থায় লাশ তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, জন উদ্যোগ ও হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।
বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘লাকিংমে চাকমা নামে ১৪ বছরের কিশোরীর মরদেহ ধর্মীয় পরিচয় (বৌদ্ধ ধর্মালম্বী ও মুসলিম) কেন্দ্রিক অমীমাংসিত অবস্থানের কারণে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
এ ঘটনার নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ ১৪ বছরের কিশোরীর ধর্মান্তরিত হওয়ার সিদ্ধান্ত আইনসিদ্ধ নয় এবং কিশোরীর বিবাহ বাল্যবিয়ের আওতায় পড়ে, যা আইনত দণ্ডনীয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অতিসত্ত্বর কিশোরীটির বাবা-মার কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হোক।’
দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির পাশপাশি অপহরণ ও হত্যা মামলা পুনঃতদন্তেরও দাবি করা হয় বিবৃতিতে।
গত ১৩ জানুয়ারি আদালতে করা মামলায় লাকিংমে চাকমার বাবা লালা অং চাকমা অভিযোগ করেন, সপ্তমশ্রেণি পড়ুয়া তার মেয়েকে অপহরণ করেছে টেকনাফের আতাউল্লাহ। সেই মামলার তদন্ত চলাকালে ১৫ ডিসেম্বর খবর পান, লাকিংমের লাশ পড়ে আছে হাসপাতালের মর্গে। মেয়ের লাশ নিতে গিয়েও পড়েন বিপত্তিতে। অপহরণ, নাবালিকা বিয়ে এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরে বাধ্য করার অভিযোগে অভিযুক্ত আতাউল্লাহ বাদ সাধলেন। নিজেকে লাকিংমে চাকমার স্বামী দাবি করে লাশ নেওয়ার আবেদন করেন তিনি। ফলে এই আবেদন গড়িয়েছে আদালতে। সেই পটভূমিতে তদন্ত সাপেক্ষে মৃতের ‘ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত’ হয়ে র্যাবকে মরদেহ সৎকার করার নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজারের একটি আদালত। এ বিষয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর সমকালে ‘লাশ নিয়েও টানাটানি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।
পাঠকের মতামত: